قصص الأنبياء بالترتيب الزمني حسب الروايات الإسلامية

নবীদের কাহিনী ক্রমানুসারে
১. আদম (আ.)
প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী। আল্লাহ তাঁকে সৃষ্টি করে জান্নাতে স্থান দেন, কিন্তু নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়ার পর পৃথিবীতে নামিয়ে দেন।
২. ইদরিস (আ.)
জ্ঞানী ও ধৈর্যশীল নবী, যাঁকে আল্লাহ উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেন।
৩. নূহ (আ.)
৯৫০ বছর দাওয়াত দেন, কিন্তু মানুষ বিশ্বাস করেনি। আল্লাহ তাঁকে একটি বিশাল নৌকা তৈরির নির্দেশ দেন, এবং প্লাবনে অবিশ্বাসীদের ধ্বংস করেন।
৪. হুদ (আ.)
আদ জাতির কাছে পাঠানো হয়েছিলেন। তাঁরা অহংকারী ছিল, তাই প্রবল ঝড়ের মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়।
৫. সালিহ (আ.)
ছামুদ জাতির কাছে পাঠানো হয়েছিলেন। তাঁরা আল্লাহর নির্দেশিত উটনীকে হত্যা করেছিল, তাই আল্লাহ তাঁদের ভয়ানক ভূমিকম্প ও বজ্রপাত দিয়ে ধ্বংস করেন।
৬. ইবরাহিম (আ.)
"খলিলুল্লাহ" বা আল্লাহর বন্ধু। নরমূদ রাজাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, এবং অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হয়েও আল্লাহর অনুগ্রহে রক্ষা পেয়েছিলেন।
৭. লূত (আ.)
সমকামিতায় লিপ্ত কওমের কাছে পাঠানো হয়েছিলেন। তারা অনুতপ্ত না হওয়ায় আল্লাহ তাঁদের ওপর পাথরের বৃষ্টি বর্ষণ করে ধ্বংস করেন।
৮. ইসমাইল (আ.)
ইবরাহিম (আ.)-এর পুত্র। কাবা শরীফ নির্মাণে পিতাকে সহায়তা করেন এবং কুরবানির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
৯. ইসহাক (আ.)
ইবরাহিম (আ.)-এর আরেক পুত্র, যাঁর বংশধরদের মধ্য থেকে অনেক নবী প্রেরিত হয়েছেন।
১০. ইয়াকুব (আ.)
"ইসরাঈল" নামেও পরিচিত। তাঁর ১২ পুত্র থেকে বনি ইসরাঈল জাতির জন্ম হয়।
১১. ইউসুফ (আ.)
ভাইদের দ্বারা কূপে নিক্ষিপ্ত হন, মিসরের রাজদরবারে পৌঁছান এবং পরবর্তীতে সেখানকার অর্থমন্ত্রী হন।
১২. শোয়াইব (আ.)
মাদইয়ান জাতির কাছে পাঠানো হয়েছিলেন। তাঁরা ব্যবসায় প্রতারণা করত, তাই আল্লাহ তাঁদের ওপর আজাব পাঠান।
১৩. আইয়ুব (আ.)
ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। দীর্ঘ রোগভোগের পর আল্লাহ তাঁকে সুস্থতা ও সম্পদ ফিরিয়ে দেন।
১৪. যুলকিফল (আ.)
একজন ন্যায়পরায়ণ ও ধৈর্যশীল নবী ছিলেন।
১৫. ইউনুস (আ.)
তাঁর কওম অনুতপ্ত না হওয়ায় তিনি রাগ করে চলে যান, ফলে তাঁকে মাছ গিলে ফেলে। পরে তিনি অনুতপ্ত হয়ে দোয়া করলে আল্লাহ তাঁকে উদ্ধার করেন।
১৬. মূসা (আ.)
ফিরাউনের বিরুদ্ধে দাঁড়ান, বনি ইসরাঈলকে মুক্ত করেন, এবং আল্লাহ তাঁকে তাওরাত দান করেন।
১৭. হারুন (আ.)
মূসা (আ.)-এর ভাই, এবং তাঁর দাওয়াতের সহযোগী ছিলেন।
১৮. ইলিয়াস (আ.)
বনি ইসরাঈলকে মূর্তিপূজা থেকে ফিরিয়ে আনতে পাঠানো হয়েছিলেন।
১৯. আল ইয়াসা (আ.)
ইলিয়াস (আ.)-এর পর নবুয়তের দায়িত্ব পালন করেন।
২০. দাউদ (আ.)
গোলিয়াতকে পরাজিত করেন, এবং পরবর্তীতে রাজা হন। আল্লাহ তাঁকে জবুর গ্রন্থ দান করেন।
২১. সুলায়মান (আ.)
দাউদ (আ.)-এর পুত্র, যিনি জিন, পশু-পাখি ও বাতাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন।
২২. জাকারিয়া (আ.)
সন্তান হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, এবং তাঁকে ইয়াহইয়া (আ.) দান করা হয়।
২৩. ইয়াহইয়া (আ.)
নবী ইসা (আ.)-এর আগমনের সুসংবাদ দেন, কিন্তু অত্যাচারীদের দ্বারা শহীদ হন।
২৪. ঈসা (আ.)
মাতা মরিয়মের গর্ভে অলৌকিকভাবে জন্ম নেন, অসুস্থদের সুস্থ করেন এবং মৃতকে জীবিত করেন। তাঁকে হত্যা করতে চাইলেও আল্লাহ তাঁকে তুলে নেন।
২৫. মুহাম্মদ (সা.)
সর্বশেষ নবী, যাঁর ওপর আল্লাহ কুরআন নাজিল করেছেন। তিনি বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন।
Comments (0)
No comments yet. Be the first to comment!